মানবতা বিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। মামলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান সংগ্রহও শুরু করেছেন বলে উদ্যোগের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এদের কয়েকজন দ্য মিরর এশিয়াকে বলেছেন, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। অভিযোগ দাখিলের জন্য তথ্য প্রমান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। দ্রুতই এসব তথ্য প্রমান যাচাই বাছাই করে অভিযোগ আকারে আসিসিতে জমা দেওয়া হবে।
উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক ও বর্তমানে অ্যামনেস্টি ইউএস এর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া এক এক্স পোস্টে বলেছেন, জরুরি আহ্বান। শেখ হাসিনাকে আইসিসিতে নিতে আমাদের সহায়তা করুন। জুলাই মাসে শেখ হাসিনার সরকার ২০০ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। কয়েক হাজার আহত হয়েছে। বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্থ।
আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশী স্কলার ও বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাবিরোধী গণহত্যার প্রমানাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তথ্য প্রমান সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ফরম খোলা হয়েছে। https://sendhasina2icc.com/submit-evidence এই ওয়েবসাইটে ফরমটি পাওয়া যাচ্ছে্। ফরমটি পুরণ করে শেখ হাসিনা ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী গণহত্যার প্রমানাদি জমা দেওয়া যাবে। যারা তথ্য প্রমান জমা দিবেন তাদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে। এবং সাইটটির জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে কেউ হ্যাক করে এখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু আইসিসিতে মামলার করার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে বলা হবে। ইতিমধ্যেই কার্যকরভাবে কাজ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ রাজি না হলে চাপ প্রয়ো করা হবে। তারা জানান শেখ হাসিনা ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক অনেক কর্মকর্তাকে মামলায় আসামীভূক্ত করা হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রভাবশালীগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে। বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হবে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশীই না আান্তর্জাতিক সুশীল সমাজকেও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।